Tuesday, October 3, 2017

স্কুলেই শিক্ষিকার যৌন ডেরা!

স্কুলেই শিক্ষিকার যৌন ডেরা!
শ্রেণিকক্ষে স্কুল শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। অভিযোগ, স্কুল ছুটির পর ও ফাঁকা সময়ে শ্রেণিকক্ষকে ব্যক্তিগত যৌন ডেরায় রূপ দিয়ে একসঙ্গে একাধিক শিক্ষার্থীর ওপর তিনি নির্যাতন চালাতেন।
ব্রিটিশ অনলাইন ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার সান মাটেও সুপিরিয়র কোর্ট ড্যানিয়েলে মাটকো নামের ওই শিক্ষিকার সাজা দেন। স্কুলের এক শিক্ষার্থীর কাছে ড্যানিয়েলের নগ্ন ছবি পাওয়ায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল ছুটির পর শ্রেণিকক্ষেই একসঙ্গে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন ইংরেজির শিক্ষিকা ড্যানিয়েলে। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে নগ্ন হয়ে থাকতেন। অভিযোগ রয়েছে, ১৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে জোর করে তিনি মুখমেহন করিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যৌন আচরণ করতে বাধ্য করতেন তিনি। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ড্যানিয়েলে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কারেন গুইদোত্তি বলেন, ‘একজন নারী শিক্ষকের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা খুব একটা ঘটে না। তাঁকে এখন ছয় বছরের কারাভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে যৌন অপরাধী হিসেবে তাঁর নাম নিবন্ধিত হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ড্যানিয়েলে। তবে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তাঁর সাজা কার্যকর হবে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইস্ট পালো আল্টো অ্যাসপায়ার ফিনিক্স অ্যাকাডেমি স্কুলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই স্কুল প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা ড্যানিয়েলকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিই। এ ছাড়া আমরা এই মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সহায়তা করেছি।

যেভাবে উল্টে গেল ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি

যেভাবে উল্টে গেল ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি

বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক দিয়ে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে একতরফা পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান ঠিক উল্টো।
রোববার রাতে লাস ভেগাসে কনসার্টে এক ব্যক্তির বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হওয়ার পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে। তবে এখনো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির অবস্থানও একই। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ রিপাবলিকানদের দখলে থাকায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন ওবামা।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান সময় সময় পাল্টেছে। গত শতকের শেষ দশকে এবং এই শতকের প্রথম দশকে ট্রাম্প দূরপাল্লার রাইফেল এবং সামরিক ধাঁচের অস্ত্রের, যা থেকে একসঙ্গে অনেক গুলি করা যায়, তার ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ছিলেন। ২০০০ সালে দ্য আমেরিকা উই ডিসার্ভ বইতে লেখেন, ‘আমি সাধারণত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে। তবে আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।’
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন মারা গিয়েছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ওবামা অস্ত্র বিক্রির ওপর আরও বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওবামার এই প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জোরেশোরে প্রচারণায় নামেন ট্রাম্প। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির বেশ পরিবর্তন দেখা যায় তখন। ওই বছরের অক্টোবরে রিপাবলিকান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এক বিতর্কে ট্রাম্প বেশ দম্ভোক্তি করে বলেন, তিনি অনেক সময় অস্ত্র বহন করেছেন। তাঁর মতে, স্কুল, গির্জা ও সামরিক ঘাঁটির মতো স্থানকে অস্ত্রমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা ‘বিপর্যয়’ ডেকে এনেছে। কারণ এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানগুলো মানসিক ভারসাম্যহীনদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলতেন, তিনি (হিলারি) অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির পক্ষে। নিজে ক্ষমতায় এলে সাড়ে পাঁচ কোটি অস্ত্রধারীর অধিকার রক্ষা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

বিসিএস ৩৬তম চূড়ান্ত ও ৩৭তম লিখিত পরীক্ষার ফল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে

বিসিএস ৩৬তম চূড়ান্ত ও ৩৭তম লিখিত পরীক্ষার ফল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে

পিএসসি
৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ও ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন। 
দুই বিসিএসের ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ও ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল চলতি অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
ফলাফল প্রকাশে এত দেরি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ফলাফল প্রত্যাশীদের ভালোর জন্যই আমাদের দেরি হচ্ছে। আমরা চাই না কারও ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থাকুক। এ জন্য আমাদের নিখুঁতভাবে ফলাফল যাচাই বাছাই করছি। এই ফলাফল নিয়ে পরবর্তী সময়ে যেন কথা না ওঠে, এ জন্য আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি।’
৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে, জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম আগস্টের শেষ দিকে পরীক্ষা নেব। কিন্তু নিতে পারিনি। তবে নভেম্বরে নেওয়া হতে পারে। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া গত ১০ জুলাই শুরু হয়, শেষ হয় ১০ আগস্ট।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০ টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে।
৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৫ হাজার ৯৯০ জন উত্তীর্ণ হন। প্রথম শ্রেণির ২ হাজার ১৮০ জন গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে ২০১৫ সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৩ হাজার ৬৭৯ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১২ হাজার ৪৬৮ জন। চাকরি প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন ১২ মার্চ থেকে। তা শেষ হয় ৭ জুন।
এদিকে ৩৭তম বিসিএসের প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫২৩ জন। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী।
প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে ১ হাজার ২২৬ জনকে নিয়োগ দিতে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এ বিসিএসে অংশ নিতে গত ৩১ মার্চ থেকে ২ মে পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন।